স্বল্প সময়ে গ্রাহকদের সহজ শর্তে ঋণ দেয়ার কথা বলে প্রায় কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে রাতের আঁধারে পলিয়ে যায় এনজিওটি।
এ সংবাদ শুনে ‘অগ্রগতি সংস্থা’র সামনে জড়ো হন ভুক্তভোগী গ্রাহকরা। এনজিও’র নিকট জমাকৃত সঞ্চয় উদ্ধারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট লিখিত আবেদন করেন ভুক্তভোগী ১২ জন গ্রাহক। উক্ত আবেদনে আরও বেশ কয়েকজন ক্ষতিগ্রস্ত গ্রাহকের নাম উল্লেখ করা হয়।
ঘটনার বিবরণে জানা যায়, শাহরাস্তি পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ডের ৬৯/৩, ৬৯/৪নং হোল্ডিংয়ের বাড়ির মালিক দুই ভায়রা মো: জাকির হোসেন ও মো: এনায়েত হোসেন চুক্তিনামার মাধ্যমে অগ্রগতি সংস্থাকে মাসিক ২২ হাজার টাকায় বাড়ি ভাড়া প্রদান করেন।
এনজিও’র পক্ষে উক্ত চুক্তিনামায় স্বাক্ষর করেন এরিয়া ম্যানেজার মো: হানিফ। তিনি লক্ষ্মীপুর জেলা সদরের ভবানীগঞ্জ গ্রামের বশির উল্লার ছেলে।
বাড়ির মালিক এনায়েত হোসেন জানান, ‘চলতি মাসের ১ তারিখ থেকে এনজিওটির বাড়ি ভাড়া কার্যকর হয়। এখানে ওঠার পর মাঠপর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করে তারা। লোকজনকে সহজ শর্তে ঋণ দেওয়ার প্রলোভন দেখাতে শুরু করেন। ৫০ হাজার থেকে ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ দেওয়ার কথা বলা হয়। তবে ঋণ পাওয়ার জন্য গ্রাহককে উল্লিখিত টাকার ১০ শতাংশ ‘জামানত’ হিসেবে জমা দিতে হবে বলে শর্ত দেয় এনজিওটি।’
প্রলোভনে পড়ে ভোলদিঘি গ্রামের সাবিকুন্নাহার নিপা ৫০ হাজার, পূর্ব উপলতার নাজমা আক্তার ৫০ হাজার, কাজীরকাপের কবির হোসেন ৬৮ হাজারসহ বিভিন্ন অঙ্কের টাকা ওই এনজিওতে জমা দেন আরও অনেকে। এভাবে প্রায় ১৯৬ জনের কাছ থেকে এক কোটি টাকার বেশি সংগ্রহ করে এনজিওটি। পরে এই টাকা নিয়ে পালিয়ে যায় অগ্রগতি সংস্থার লোকজন।
খবর পেয়ে শাহরাস্তি থানার উপ-পরিদর্শক সৈকত দাস গুপ্তের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে বাড়ির মালিক ও ভুক্তভোগী গ্রাহকদের অভিযোগ শোনেন।
প্রাথমিক তদন্তে প্রতারণার অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে এবং অভিযোগ ওঠা ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছেন, শাহরাস্তি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ শাহ আলম।